হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। আজ আমি নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করব আজকের বিষয় মুসলমানদের জীবনে শবে কদরের গুরুত্ব ও এর তাৎপর্য সম্পর্কে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করব। আশা করি আমার লেখা টি আপনাদের ভালো লাগবে।
পৃথিবীতে নানান ধর্মের মানুষ আমরা বাস করি। এক এক জাতি বা গোষ্ঠীর এক এক রকম ধর্ম অনুসরণ করে ।তেমনি পৃথিবীতে সাতশো কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় দেড়শ কোটি মানুষ মুসলিম ধর্মের অনুসরণ করে থাকে। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মুসলমানদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদাত শবে কদর সম্পর্কে।
শবে কদর এমন একটি রাত যে জাতি পৃথিবীতে যতগুলো রাত আছে তারমধ্য মুসলমানদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত এটি মূলত রমাদান মাসে রাত্রি প্রত্যেক বছর প্রত্যেক মুসলিমদের জীবনে এসে থাকে। রমাদান মাসে পবিত্র কোরআন মুসলমানদের পথপ্রদর্শক হিসেবে আমাদের সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর উপর অবতীর্ণ হয় এই রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাসের মধ্যেই শবে কদরের রাত নির্ধারিত হয় তবে এটি কোন নির্ধারিত একটি রাত নয় 30 টি রোজার মধ্যে শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলো 20 রোজার পরে 21, 23, 25, 27, 29 এই রাতগুলোর যেকোনো একটি রাতই হল শবে কদরের রাত। এই রাতের মর্যাদা এত বেশি যে এটি 1000 বছর রাতের চেয়ে উত্তম।
এই রাত্রিকে মুসলমানদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। এই রাতে অনেক বেশি বেশি এবাদত বন্দেগী সৃষ্টিকর্তার জন্য করতে হয় সৃষ্টিকর্তা কাছে যত বেশি এড়াতে এবাদত-বন্দেগি করা যায় নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত ও তাজবি এগুলো বেশি বেশি করে আদায় করা এবং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য বেশি বেশি ইবাদত করা এরাতের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই রাতে যে যত বেশি ইবাদত করবে সে এর বেশি ফল ভোগ করবে সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে তাই এই রাতের গুরুত্ব অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ।
মুসলমানরা এই রাত থেকে অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে এবাদত বন্দেগীর মধ্যে দিয়ে পার করে থাকেন কারণ আপনি জীবনে যত গুনাহ পাপ করে থেকেছেন যত অন্যায় করেছেন সৃষ্টিকর্তাকে এই রাতে বেশি বেশি করে সৃষ্টিকর্তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং আপনার কাজের জন্য তওবা করুন তাহলে সৃষ্টিকর্তাকে আপনার বাপ কে ক্ষমা করে দিয়ে পূর্ণ দ্বারা সেটাকে পরিপূর্ণ করে দিবে কারণ এটি হলো একটি বিশ্বাস সৃষ্টিকর্তার উপরে প্রত্যেক মুসলিমের।এই রাতে বেশি বেশি করে দান-সদকা করা উত্তম কারণ আপনি যদি 1tk আজকের দিনে দান করে থাকেন তাহলে এই সেই রাতে যদি শবে কদরের রাত হয় তাহলে এটি হাদিসে এমন বর্ণনা করা হয়েছে যে আপনার এক টাকা দান এটি এক হাজার মাস প্রত্যেকদিন একটা করে দানের সব আপনার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হবে।তাই এ শবে কদরের রাতে আমরা বেশি বেশি করে দান-সাদকা করব গরিবদের সাহায্য করব এবং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের জন্য আমরা বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগির মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করব।
আজকের এই দিনে যদি আমরা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে আমাদের গুনাহ ও পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে না পারি তাহলে আমাদের মত অধম আর কেউ নাই তাই আমরা সকলে এই রাত্রিকে অবশ্যই গুরুত্ব সাথে আদায় করার চেষ্টা করব এবং বেশি বেশি করে কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করব তাজবি তাহলীল করব এবং নামাজ আদায় করব।
তো বন্ধুরা রমাদান দেখতে দেখতে প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে মুসলমানদের জীবনে এই রমাদান এর পরেই আসে কাঙ্ক্ষিত একটি দিন সেটি হল ঈদুল ফিতর এই দিনে মুসলমানরা অনেক বেশি আনন্দ করে থাকে সারা মাস রোজা রাখার পরে এই দিনটিতে গরিব ধ্বনি সবাই এক হয়ে যায় একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং নানান রকম ভেদাভেদ ভুলে যে একসাথে আনন্দে মেতে ওঠে তাই মুসলমানদের জীবনে এই রমাদান ও ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব অপরিসীম।
তো বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশা রইল সকলের প্রতি আমার ব্লক কি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সকালে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আল্লাহ হাফেজ।