হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন ?আশা করি সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন ।আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমাদের যুবসমাজের অধঃপতন ও এদের নানা রকম অপরাধ কর্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। আশা করি আমার লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।অবশ্যই আমার লেখাটি আপনারা পড়বেন।
আমরা জন্ম থেকে কেউ অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করি না। নিষ্পাপ হয়ে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমাদের আগমন ঘটে প্রত্যেকটি মানুষের।কিন্তু সময়ের বিবর্তনে বা নানা রকম পারিপার্শ্বিকতা ও সামাজিক নানা রকম অসঙ্গতির কারণে আমরা এক এক জন এক এক রকম অপরাধ কর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ি। কারণ অপরাধ কর্ম এক ধরনের সামাজিক ব্যাধি। আমাদের সমাজের দিকে এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে বর্তমানে আমাদের যুব সমাজ অনেকটা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সময় যত আধুনিক হচ্ছে সাথে সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের যুবকেরাও ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছে যাচ্ছে। পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই যুব অপরাধ এটি একটি সার্বজনীন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যুব অপরাধ আসলে কোন শিশু একদিনে তার অপরাধ কর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে না। এই যুব অপরাধের সবচেয়ে মূল একটি কারণ হলো আমাদের ছেলেমেয়েদের সৎসঙ্গের অভাব। তারা অসৎ সঙ্গে লিপ্ত হয়ে যায় তাদের বন্ধুবান্ধব ও দুষ্ট খেলার সাথীদের সাথে ছেলেমেয়েরা প্রথম তাদের অপরাধ কর্ম করতে থাকে। তবে অন্যান্য কিছু বৈশিষ্ট্য আছে এই যুবকরা দের তার মধ্যে অন্যতম ভিক্ষাবৃত্তি ও ইন্টারনেট পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও দেখা, চুরি করা, নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করা জুয়া খেলা এগুলো আমাদের যুব সমাজের মধ্যে এই বিষয় গুলো লক্ষ্য করা যায়।
একটি দেশের উন্নতির জন্য এই যুবক এরাই আগামীর ভবিষ্যৎ।কিন্তু সেই যুবকেরা যদি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়ে থাকে তাহলে সে দেশের উন্নতি কখনো সাধন করা সম্ভব না এবং সে দেশ এবং সমাজ আস্তে আস্তে চরম বিপর্যয় মধ্য পড়ে যায়। কারণ একটি যুবকই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কারণ তার মধ্যেই আগামী দেশ পরিচালনা তাদের মধ্য থেকেই হয়ে থাকবে কিন্তু যদি যুবসমাজ নানা রকম অপরাধ কর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে তাহলে সেই সমাজ ও দেশের জন্য খুবই সংকটাপন্ন একটি সময় চলে আসে।
সময়ের পরিক্রমায় ছেলেমেয়েরা আধুনিকতার নামে তারা বিপথে ধাবিত হচ্ছে। ছেলে মেয়েরা মনে করে যে আধুনিক হতে হলে তাদেরকে স্মার্টনেস প্রমাণ করতে হলে তাদের মধ্য ধূমপান এটি খুবই একটি সাধারণ বিষয় কিন্তু ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর একজন ধূমপায়ী আস্তে আস্তে সে নানা রকম নেশা জাতীয় দ্রব্যের সাথে সংযুক্ত হতে থাকে এভাবেই 12 থেকে 18 20 বছরের ছেলেমেয়েরা এই নেশা জাতীয় দ্রব্যের সাথে প্রায়ই জড়িয়ে পড়ে। একটি শিশুর ভবিষ্যতকে নষ্ট করার জন্য তার এই নেশা দ্রব্য যথেষ্ট কারণ তার যখন মানসিক বিকাশে হওয়ার সময় তখন সে নেশার মধ্যে মগ্ন থাকে এবং নানা রকম অপরাধ কর্ম করে থাকে এই নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য সেই এমনকি মানুষকে হত্যা করতে পর্যন্ত দ্বিধাবোধ করবে না কারণ নেশা এমন একটি দ্রব্য যেটি মানুষকে তিলে তিলে নিঃশেষ করে দেয়।নেশা দ্রব্যের কারণে আজ যুবসমাজ নানা রকম অপরাধ কারণ এর সাথে জড়িয়ে পড়েছে তারা চুরি ডাকাতি ছিনতাই রাহাজানি এসব নানা রকম অপকর্ম করে থাকে এখন বর্তমান সমাজে আমরা প্রায়ই দেখতে পাই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যুবসমাজের এদের মধ্যে তারা নিজেদেরকে সমাজে নিজেকে পরিচিত লাভ করার জন্য তারা যুব গ্যাং তৈরি করে থাকে। এরা সংঘবদ্ধভাবে মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং মানুষকে নানারকম হয়রানি করে থাকে।
তবে অভাবের তাড়নায় ও অনেকে নানা রকম অপরাধ কর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে আমাদের দেশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে লক্ষাধিক মানুষ তাদের মাথা গোঁজার মতো আশ্রয়স্থল নাই তাদের তিন বেলা খাবারের কোন ব্যবস্থা নাই এসব নানারকম কারনেও ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন রকম অপরাধ কর্মের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে।কারণ যুবকদের মধ্যে যদি আপনি সচেতনতা ও সুশিক্ষা না দিতে পারেন তাহলে এবং তাদের তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা নেয়া করতে পারেন এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা না করতে পারেন এবং তাদের মৌলিক চাহিদার ব্যবস্থা না করতে পারেন তাহলে আপনার অপরাধ কর্মযজ্ঞের মধ্য বেড়ে যাবে এটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি।
আমাদের বাংলাদেশ এখন যুবকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটা লক্ষণীয় সেটি হলো ইন্টারনেট এর সুফল কুফল বেশি লক্ষণীয় কারণ যুবকেরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নানা রকম পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিও দেখাতে যুবকদের মধ্যে নানারকম অ্যাডাল্ট ও যৌবন তাড়নার কাজ করে যার ফলে তারা নানা রকম অপরাধ কর্ম করে থাকে কারণ যুবকেরা যখন পর্নোগ্রাফি দেখে তাদের কামবাসনা পূরন করার জন্য তারা নানারকম অপরাধ কর্ম করে থাকে তারা ইভটিজিং ও ধর্ষণের মত অপরাধ করতে দ্বিধাবোধ করে না।
যুব অপরাধ থেকে পরিত্রাণের আমার পরিকল্পনা:-
যুব অপরাধ এখন বর্তমান সমাজে সবচেয়ে বড় একটি সমস্যা। এটি প্রত্যেকটি দেশেই যুব অপরাধ পরিলক্ষিত। এই যুব অপরাধ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে যে করণীয় গুলো করা উচিত সেগুল আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। পৃথিবীতে কেউই জন্ম থেকেই অপরাধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। আমাদের নানা রকম পারিপার্শ্বিকতা অসামাজিক নানা রকম অসংগতি ও পরিবারের সঠিক শিক্ষা না দেওয়ার ফলে আজ যুবকেরা নানা রকম অপরাধ কর্মের সাথে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এই যুবকদেরকে সর্বপ্রথম পরিবারের শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ একটি শিশুকে মানুষের মত মানুষ করার জন্য তার পরিবারের সর্বপ্রথম ভূমিকা পালন করে থাকে।
পরিবারের পিতা মাতা দাদা দাদি চাচা চাচি আত্মীয়-স্বজন সকলে যদি সৎ ও নিষ্ঠার সাথে জীবনযাপন করে থাকে এবং নানা রকম অপরাধ কর্মের সাথে নিজেদেরকে না জড়িয়ে নিজেরা মানব সেবায় নিয়োজিত থাকে তাহলে এর থেকে পরিবারের শিশুরা শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং তাদের পরবর্তী জীবন সে দিকে ধাবিত করবে।তাই পরিবারকে সর্বপ্রথম অন্যের উপকারে কাজ করতে হবে এমন মন-মানসিকতার তৈরি করতে হবে এবং শিশুর মানসিক বিকাশে সহায়তা করতে হবে তাহলে এই শিশু পরবর্তীতে অপরাধ কর্মের সাথে জড়াবে না।
এই অপরাধ কর্মের আরেকটি প্রধান কারণ হলো সঙ্গ দোষ কারণ আমাদের ছেলেমেয়েরা তাদের সৎসঙ্গের অভাবে তারা নানারকম বিপথে চলে যায় এবং নানা রকম অপরাধ কর্ম করে থাকে তাই তাদের সর্বপ্রথম বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের পরিবারকেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে অসৎ বন্ধু তাদের কখনো সংস্পর্শে আসতে পারে আমাদের ছেলেমেয়েরা নামে সেদিকে আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে।
শিশুদের অপরাধ কমানোর জন্য অবশ্যই নানারকম সামাজিক সংগঠন তৈরি করতে হবে এবং তাদেরকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে কারণ আমাদের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যুবকেরা অপরাধের সাথে জড়িত হওয়ার মূল কারণ তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো তারা ঠিক ভাবে না পাওয়ার কারণ তাই আমাদের সামাজিক সংগঠনগুলো যদি তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় এই যুবকদের প্রতি এবং তাদেরকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারে তাহলে এই যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে থেকে দেশের কল্যাণে কাজ করবে।
আমাদের দেশের সরকারকে অবশ্যই কর্মসংস্থানের সঠিক ব্যবহার করতে হবে এবং উপযুক্ত কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে এবং যুবকদেরকে তাদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানে যোগদানের জন্য সঠিক গাইডলাইন দিতে হবে তাহলেই যুবকেরা নানা রকম অপকর্ম ও নানা রকম অপরাধ কর্ম থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারবে কারণ যখন যুবকেরা নানারকম কর্মের সাথে নিজেদেরকে পরিচালনা করবে তখন তারা অপরাধ থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে ফেলবে।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই, আমার লেখাটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি আমার মেধার মূল্যায়ন করার জন্য।বন্ধুরা আমার লেখার মধ্যে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সকলে ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশা রইল।
আমার ব্লগ টি ভিজিট করার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহাফেজ।
** Your post has been upvoted (1.81 %) **
Curation Trail Registration is Open!
Curation Trail Here
Delegate more BP for better Upvote + Daily BLURT 😉
Delegate BP Here
Thank you 🙂 @tomoyan
https://blurtblock.herokuapp.com/blurt/upvote