ভোরের দৃশ্য

in r2cornell •  2 years ago 

ভোরের দৃশ্য

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

IMG20220927054819_01.jpg

প্রিয় পাঠকবৃন্দ! আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ তা'আলার অশেষ মেহেরবানীতে খুব ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ। আজকে আপনাদের সামনে আবারো নতুন একটি বিষয় নিয়ে ফিরে আসলাম। আর তা হল "ভোরের দৃশ্য"।

IMG20220927054749_01.jpg

ফজর সালাত আদায় করার পর মসজিদ থেকে বের হই। তখনো পুরোপুরি অন্ধকার কেটে যায়নি। মুসল্লীরা সব বাড়ির দিকে রওনা হয়ে গেছে। দুই একজন মুসল্লী মসজিদে বসে জপ করতেছে। মসজিদ থেকে আমিও বাইরে বেরিয়ে আসি। সোলার বিদ্যুতের বাল মসজিদের সামনে এখনো জ্বলছে। আর অল্প কিছুক্ষণ সময়ের মধ্যে এই সোলার বিদ্যুতের ভারতীয় সারাদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

আজকের আবহাওয়াটা মোটামুটি ঠান্ডা প্রকৃতির। আকাশে হালকা মেঘ ঝিরিঝিরি বাতাস পরিবেশটা অন্যরকম হয়ে গেছে। শরীরে হালকা ছিট ছিট ভাব অনুভূত হচ্ছে। গতকালকে হালকা বৃষ্টি হয় আজকের আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হয়ে আছে। শীতকালের আবেশ ফুটে উঠছে আজকের সকালের এরকম মনোরম দৃশ্য। পরিবেশটা একদম নীরব নিস্তব্ধ। নেই কোন মানুষের কোলাহল। ফজরের সময় নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যখন আসি তখন শরীরটা যেন শিউরে উঠছিল।

IMG20220927054755_01.jpg

একা একা যখন শূন্য পথে মাঠের ভিতর দিয়ে আসি তখন মনের মধ্যে অনেক ধরনের চিন্তা ঘুরপাক খেতে থাকে। তেমন ভিতরে কোন ভয় কাজ করে না। আকাশ পানে যখন চেয়ে দেখি। চাঁদ তারা গুলো মেঘের মাঝে লুকোচুরি খেলে। আকাশটা অনেক সময় নবমধুর ছাদে সেজে থাকে দেখতে কত অপরূপ লাগে সে আকাশটা। সেই সময়ই আকাশের ফটোগ্রাফি তুলে রাখতে ইচ্ছে হয় কিন্তু ফোন দিয়ে তো আর সুন্দর ফটোগ্রাফি করা যায় না হালকা অন্ধকার থাকলে তাই চেষ্টা থাকলেও শ্রাদ্ধের বাইরে কাজ করা যায় না।

মসজিদের বারান্দায় কিছুক্ষণ হাটাহাটি করার পর মসজিদ থেকে বের হয়ে আসি। মসজিদের পাশেই সরকারিভাবে একটি সৌর বিদ্যুৎ বাহিত ল্যাম্পোস্ট দেয়া আছে। ল্যাম্পপোস্টের ফটোগ্রাফি করার ২-১ মিনিটের মধ্যেই ল্যাম্পপোস্টের বাতি নিভিয়ে যায়।

IMG20220927054844_01.jpg

এরপরও বাইরে রাস্তায় কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে থাকি। এই রাস্তাটা ফাঁকা হতে অনেক ডায়াবেটিসের রোগী ফজরের আজান থেকে শুরু করে এই পথ দিয়ে চলাচল করতে শুরু করে। সকাল অব্দি এই রাস্তা দিয়ে পুরুষ মহিলা বয়স্ক যারা তারা এ পথ দিয়ে ই সাধারণত হেঁটে হেঁটে ব্যায়াম করে। একেক জনকে দেখি হাঁটতে পারে না তবু কষ্টে হাটার চেষ্টা করে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ফোরকানিয়া মাদ্রাসার জন্য ছাত্ররা মসজিদে জমায়েত হলে তাদেরকে পরিয়ে শেষ করি। এবং দোয়া কালাম এর মাধ্যমে তাদের ছুটি সমাপ্ত করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি।

IMG20220927054746_01.jpg

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!